সংজ্ঞা: বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে সকল গতিশীল বস্তু গতির জরতা দরুন সরলরেখায় সমবেগে চলতে থাকে । একটি বস্তুকে মৃতকার পথে গতিশীল রাখতে হলে এর সরলরেখা গতিশীল থাকার প্রবণতা কে প্রতিমুহূর্তে বল দ্বারা প্রতিরোধ করতে হয়। যখন কোন একটি বস্তু গীতিকার পথে ঘুরতে থাকে, তখন দুটি বল কিয়া করে । যেমন-
(i) কেন্দ্রমুখী বল {Centripetal force}
(ii) কিন্তুবিমুখী বল {CentriFugal force}
উপরের এই ছবিটিতে কেন্দ্রমুখী বল এবং কেন্দ্র বিমুখী বল সহজ ভাবে বোঝানো হয়েছে। এই ছবিটিতে একটি বস্তুকে বৃত্তিকার পথের ঘূর্ণমান দেখানো হয়েছে যেখানে লাল রঙের তীর চিহ্ন কেন্দ্রমুখী বল নির্দেশ করে এবং নীল রঙের তীর চিহ্নকে কেন্দ্র বিমুখী বলকে নির্দেশ করেছ।
কেন্দ্রমুখী বল
যখন কোন বস্তু বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে তখন যে বল সর্বনা বস্তুর উপরে ওই বৃত্তের কেন্দ্রের অভিমুখে কিয়া করে বস্তুটিকে বৃদ্ধকার পথে গতিশীল কে তাকে কেন্দ্রমুখী বল বলে।
কেন্দ্রবিমুখী বল
বৃত্তাকার পথে অনবরত একটি বস্তুর যে বল ওই বৃত্তের কেন্দ্রের বিপরীত দিকে প্রয়োগ করে, তাকে কেন্দ্র বিমুখী বল বলে। এই বলকে কেন্দ্রাতিগ যা অপকেন্দ্রিক বল বলে। কেন্দ্রমুখী বলের মান কেন্দ্রমুখী বলের সমান এবং বল পরস্পর বিপরীত দিকে ক্রিয়া করে।
উদাহরণ স্বরূপ : একটি ঢিল সুতার এক প্রান্ত বেঁধে দিয়ে সুতার অপর প্রান্তে ধরে ঢিলটিকে সমশ্রুতিতে ঘুরাতে গিয়ে প্রতিমুহূর্ত হাত দ্বারা সুতা বারবার ঢিলের উপর অবশ্যই বল প্রয়োগ করতে হবে।
কেননা বল বস্তুর উপর এর গতিপথে সমকোণে ক্রিয়া করলেই বস্তুর গতির দিক পরিবর্তিত হবে। এখানে সুতা যে বলে সাহায্যে ঢিলটিকে কেন্দ্র অভিমুখে টেনে রাখে ,তাকে কেন্দ্রমুখী বল বলে।
অর্থাৎ ঢিলের উপর সুতার যে টান বা বল তাই কেন্দ্রমুখী বল। আবার টিপটি সুতার অপর প্রান্তে হাতের উপর বাইরের দিকে যে বল প্রয়োগ করে তাই কেন্দ্র বিমুখী বল।
নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী যেহেতু ক্রিয়া ও প্রতি পরস্পর সমান, সেহেতু গেঙ্গাযোগী কেন্দ্র বিমুখী বলের মান সমান।
প্রিয় পাঠক, এই ছিল আমাদের কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্র বিমুখী বল সম্বন্ধে বিস্তারিত। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য কাজে আসবে। এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের gettbi.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন, ধন্যবাদ।